Dhaka ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ: জাতীয় পুনর্গঠনের পথে নতুন অগ্রযাত্রা

  • Update Time : ০৯:৪০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 33
ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি: অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন অবশেষে প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এসব প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা হয়, যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

সংস্কারের পথে প্রথম পদক্ষেপ

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খাতে সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে ছয়টি পৃথক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় গঠিত এসব কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ছিল প্রতিবেদন জমার শেষ দিন।

শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে— সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কার, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ।

জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ

এর আগে, গত মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, এই ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।

এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আলোচনায় অংশ নেবেন জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে আলোচনার ব্যাপ্তি বাড়ানোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত আলোচনাটি চালিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক সাড়া এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হবে।

দেশের সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এখন অপেক্ষা করছেন জাতীয় ঐক্যমত অর্জনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনার ফলাফলের জন্য। সংস্কারের এই পথচলা কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আন্তরিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর।

ট্রেন্ডবিডিনিউজের পক্ষ থেকে সংস্কার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ: জাতীয় পুনর্গঠনের পথে নতুন অগ্রযাত্রা

Update Time : ০৯:৪০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি: অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন অবশেষে প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এসব প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা হয়, যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

সংস্কারের পথে প্রথম পদক্ষেপ

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খাতে সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে ছয়টি পৃথক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় গঠিত এসব কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ছিল প্রতিবেদন জমার শেষ দিন।

শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে— সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কার, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ।

জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ

এর আগে, গত মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, এই ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।

এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আলোচনায় অংশ নেবেন জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে আলোচনার ব্যাপ্তি বাড়ানোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত আলোচনাটি চালিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক সাড়া এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হবে।

দেশের সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এখন অপেক্ষা করছেন জাতীয় ঐক্যমত অর্জনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনার ফলাফলের জন্য। সংস্কারের এই পথচলা কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আন্তরিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর।

ট্রেন্ডবিডিনিউজের পক্ষ থেকে সংস্কার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।