Dhaka ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ

ট্রেন্ডবিডিনিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৯:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • / 11

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে আবারও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) তিনি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী সোমবার (৯ জুন) থেকে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের বিতর্কিত অভিবাসন নীতিরই পুনরাবৃত্তি।

যেসব দেশের নাগরিকদের সরাসরি প্রবেশ নিষিদ্ধ:
আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।

আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে আরও ৭ দেশ:
বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

নিষেধাজ্ঞার কারণ কী?
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প জানান, সম্প্রতি কলোরাডোর বোল্ডারে ইহুদিদের একটি র‍্যালিতে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। ওই হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত এক বিদেশি নাগরিকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

যদিও হামলাকারী মিসরের নাগরিক, তবুও মিসরের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়নি—যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভিসায়ও কঠোরতা
ট্রাম্প আরও একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে হার্ভার্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিবাসন এবং ভিসা নীতিতে আরও কঠোরতা আনা সময়ের দাবি।”

রাজনৈতিক প্রভাব ও অভিবাসন উদ্বেগ
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি এটি তাঁর আগামী নির্বাচনী প্রচারণায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়ার ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ

Update Time : ০৯:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে আবারও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) তিনি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী সোমবার (৯ জুন) থেকে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের বিতর্কিত অভিবাসন নীতিরই পুনরাবৃত্তি।

যেসব দেশের নাগরিকদের সরাসরি প্রবেশ নিষিদ্ধ:
আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।

আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে আরও ৭ দেশ:
বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

নিষেধাজ্ঞার কারণ কী?
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প জানান, সম্প্রতি কলোরাডোর বোল্ডারে ইহুদিদের একটি র‍্যালিতে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। ওই হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত এক বিদেশি নাগরিকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

যদিও হামলাকারী মিসরের নাগরিক, তবুও মিসরের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়নি—যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভিসায়ও কঠোরতা
ট্রাম্প আরও একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে হার্ভার্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিবাসন এবং ভিসা নীতিতে আরও কঠোরতা আনা সময়ের দাবি।”

রাজনৈতিক প্রভাব ও অভিবাসন উদ্বেগ
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি এটি তাঁর আগামী নির্বাচনী প্রচারণায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়ার ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।