WPL 2025 ফাইনাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দাপট – দ্বিতীয় শিরোপা জয়

- Update Time : ১০:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 86
হারমানপ্রীত কৌরের ঝলক, ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টের দাপট – দ্বিতীয় শিরোপা জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
নারী প্রিমিয়ার লিগ (WPL) ২০২৫-এর ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ইতিহাস গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শনিবার (১৫ মার্চ) ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা নিজেদের করে নিল মুম্বাই।
হারমানপ্রীত কৌরের ক্যাপ্টেনস ইনিংস
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর আরও একবার প্রমাণ করলেন কেন তিনি একজন বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। তার ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস মুম্বাইকে প্রতিযোগিতামূলক ১৫০ রানের সংগ্রহ এনে দেয়। ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পাশাপাশি দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্যও তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
নাট স্কিভার-ব্রান্টের বোলিং দাপট
মুম্বাইয়ের জয়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও বড় অবদান রাখেন ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট। পুরো আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন তিনি, আর ফাইনালেও নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন। তার বোলিং তোপে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
ফের ব্যর্থ দিল্লি ক্যাপিটালস
তৃতীয়বারের মতো WPL ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছুঁতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। মেগ ল্যানিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। মারিজান কাপ ২৬ বলে ৪০ রান করলেও বাকিরা ছিলেন ছন্দহীন। শাফালি ভার্মা, জেস জনাসেন, জেমাইমা রদ্রিগেজ ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড সহজেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন।
শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা
দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংসের শেষদিকে কিছুটা লড়াই দেখা গেলেও মুম্বাইয়ের বোলাররা চাপ ধরে রেখে দলকে জয়ের স্বাদ এনে দেন। শেষ পর্যন্ত ৮ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়ে WPL-এর ইতিহাসে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
WPL-এ মুম্বাইয়ের আধিপত্য
মাত্র তিন বছরের মধ্যে দুটি শিরোপা জিতে WPL-এ নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও স্কিভার-ব্রান্টের অসাধারণ পারফরম্যান্স মুম্বাইকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি ছিল এক রোমাঞ্চকর ফাইনাল, যেখানে ব্যাট-বলের লড়াই উপভোগ করেছেন সবাই। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সমর্থকদের জন্য এটি আবারও আনন্দের দিন, আর দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ।